ads

Responsive Advertisement
LATEST UPDATES

রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২০

জাগো বন্দর ২৪.নিউজঃবন্দর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব (বরখাস্ত) ইউসুফের বিরদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।



জাগো বন্দর ২৪.নিউজঃ বন্দরে সরকারি অর্থ আত্নসাৎ ও ইউপি চেয়ারম্যান স্বাক্ষর জাল করা মামলায় বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব (বরখাস্ত) ইউসুফের বিরদ্ধে ও ইউসুফকে গ্রেফতারি  পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। 
(৪অক্টোবার) সিনিয়র জুডসিয়াল নূরনাহার ইয়াসমিন আদালতে এ  আদেশ দেন। 
বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান  এহসান উদ্দিনের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জাড়ি করেছে। 

বন্দর ইউনিয়নের সাবেক সচিব (বরখাস্ত) ইউসুফ বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি নিশ্চিত করেছেন 
করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী শরীফুল ইশলাম শিপলু।            

        

গত ২৮ নবেম্বর জন্মনিবন্ধন সনদ ও ট্রেড লাইসেন্স খাতের ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সচিবের পর এবার বরখাস্ত হলেন বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহমেদ। এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয় বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ইউসুফকে।
এ ব্যাপারে এহসানউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থ আত্মসাতের চারটি রিপোর্ট তদন্তাধীন রয়েছে। এ ছাড়া পিবিআই অভিযোগের তদন্ত করছে। এগুলো নিষ্পত্তি না পর্যন্ত বরখাস্ত করা দুঃখজনক।
টাকা আত্মসাতের সঙ্গে ইউপি সচিব জড়িত থাকলে চেয়ারম্যান হিসেবে আমিও দায় এড়াতে পারি না। এদিকে বরখাস্তের পর চেয়ারম্যানের একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে বইছেআলোচনা-সমালোচনার ঝড়। বরখাস্তের পর চেয়ারম্যানের আবেগঘন ফেসবুক স্ট্যাটাস: বন্দর ইউনিয়নবাসীকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। হাজারও প্রমাণ হাতে থাকার পরও আজ সত্য প্রতিষ্ঠায় মনে হয় ব্যর্থ হয়ে গেলাম।
আমি হাল ছেড়ে দেয়ার মতো মানুষ না। আমি অন্যায়ের সঙ্গে আপস করার মানুষ না। আমি দুর্নীতির সঙ্গে আপস করার মতো মানুষ না। আমি মিথ্যা কথা বলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার মানুষ না। আমি কারও হক নষ্ট করে অর্থ উপার্জন করার মতো মানুষ না। আমি জীবনে কাউকে এক টাকা ঠকিয়েছি এমন কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারবেন না ইনশাআল্লাহ।
আস্থা আর বিশ্বাস ছাড়া পৃথিবীতে কোনো প্রতিষ্ঠানই চলতে পারে না। পিতার ওপর পুত্রের আর পুত্রের ওপর পিতার এবং স্বামীর ওপর স্ত্রী আর স্ত্রীর ওপর তার স্বামীর যদি আস্থা-বিশ্বাস না থাকতে তাহলে পৃথিবীতে থেকে সংসার নামক শব্দটি এতদিনে মুছে যেত।একজন কাজের ছেলের হাতে আমার বাচ্চাকে রেখে যাওয়ার পর সে যদি আমার সেই বাচ্চাকে গলা টিপে হত্যা করে তার দায় আমি বাবা নিতে পারিনা।৩৩ লাখ টাকা আমার পারিবারিক ঐতিহ্য আর সম্মানের প্রেক্ষাপটে খুবই সামান্য, আমার কথা না হয় বাদই দিলাম।বাবার কাছ থেকে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সামান্য জমি বিক্রি করে দিলেই ব্যবস্থা হয়ে যেত। এতে করে প্রকৃত অপরাধী, দুর্নীতিবাজ, প্রতারক ও বিশ্বাসঘাতক সচিব পার পেয়ে যেত।
পিবিআই এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে এই বিষয়ে ওপর তদন্ত চলছে। আমি আমার ইউনিয়নবাসীকে অল্প কিছুদিন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
আমি প্রার্থনা করছি যাতে আল্লাহ সুবহানাআল্লাহ আমাকে সব ধরনের অন্যায়, দুর্নীতি, বিশ্বাসঘাতকতা আর প্রতারণার বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন।
উল্লেখ্য যে, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব ইউসুফকে স্থায়ীভাবে বরখাস্থ করেছে। অর্থ আত্মসাৎ,দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে ইউপি সচিব মোঃইউসুফকে। দূর্নীতির দায়ে স্থায়ীভাবে সাবেক সচিবকে বরখাস্থ করে প্রমান করলেন সত্যের জয় হবেই। সত্যই সুন্দর- সুন্দরই সত্য আর এটারই প্রমান হল। মিথ্যার জয় খনিকের হলেও সত্যের জয় দীর্ঘ মেয়াদী। যদিও একটু বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়। 
নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার বন্দর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব ও বর্তমানে  সোনারগাঁও উপজেলার সন্মানদী  ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ ইউসুফের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে অভিযোগ  প্রমানিত হওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ ইউসুফ কে চাকরিচ্যুত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। 
 জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত ২৮ জুন তারিখের অফিস আদেশে জানান হয়, কর্তব্যে অবহেলা, সরকারি অর্থ  ও সরঞ্জামাদি আত্মসাৎ করার  অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ)কর্মাচারী চাকরি বিধিমালা /২০১১ এর ৭ম অধ্যায়ে বর্নিত সাধারণ আরএ এবং সুশৃঙ্খল জনিত বিধিমালা ব্যহতের কারণে তার বিরুদ্ধে ৩৮ বিধির অধিনে বিভাগীয় মামলা চালু করা হয়।যেহেতু বিধি ৩৮(ক)(খ) বিধান অনুসারে তাকে অভিযোগের শাস্তির বিষয় উল্লেখ করে কারণ দর্শানো হয়।তার দাখিলকৃত জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় বিভাগীয় মামলা তদন্তের নিমিত্তে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন  পরিষদ) চাকরি বিধিমালা /২০১১ এর বিধি ৩৮(২)(গ) মোতাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মাসুম বিল্লাহ ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার সারাওয়াত মেহজাবীন, সহকারী কমিশনার আসমা সুলতানা নাসরিন গনের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।তদন্ত কমিটির তদন্তে বন্দর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র,ক্যাশ বহি, রেজিস্ট্রার,জরুরি নথিপত্র পর্যালোচন করে ইউসুফের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ যথাযথভাবে প্রমানিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ)চাকরি বিধিমালা /২০১১ এর ৩৫(১)খ(ঈ) ধারা অনুযায়ী তাকে  চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। 
খোজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব ইউসুফ জন্ম সনদ,লাইসেন্স নবায়ন সহ বিভিন্ন ভাবে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।এসব অনিয়মের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় প্রায় ২ বছর সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন।এসময় নিজের অপকর্ম আড়াল করতে বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করতে থাকে ইউসুফ।পরে সোনারগাঁও সন্মানদী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নিযুক্ত হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে বহু অপকর্মের হতো মোঃ ইউসুফ।আর অর্থ বানিজ্যের কারণে অতিষ্ট হয়ে জন্ম নিবন্ধন ও সকল প্রকার সনদ ইস্যুর পাসওয়ার্ড নিজের কাছে সংরক্ষণ করেন চেয়ারম্যান মোঃ জিন্নাহ।
জানতে চাইলে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন বলেন,জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটির তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় চরম দুর্নীতিবাজ সচিব ইউসুফকে  চাকরিচ্যুত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

 

Top