বক্তাবলী ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে আবুল কাশেম তুচ্ছ ঘটনার প্রেক্ষিতে পূর্ব শক্রতার জের ধরে গত ২৫/১১/২০১৯ইং তারিখে ফতুল্লা থানার একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায় উক্ত মামলা নং-৭১, ধারা ঃ ১৪৩/৪৪৭/৩৪১/৩২৩/৩২৬/৩২৪/৩৭৯/৫০৬ দঃ বিঃ মুলে ১) মানিক মিয়া (৫০), ২) সিদ্দিক মিয়া (৪৫), ৩) রিফাত হোসেন (২৩), ৪) রিয়াদ হোসেন (২১), ৫) মোসাঃ মোসলেমা (৪৫) এদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংশার কারণে কাশেম মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এই মামলায় প্রধান আসামী মানিক মিয়া গ্রেফতার হলেও সে বর্তমানে জামিনে আছে। ঘটনার বিবরণ সম্পর্কে জানার জন্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসী জানান যে, মানিক মিয়া তাহার ক্ষেতে চাষাবাদ করার জন্য গেলে অহেতু মোহাম্মদ আলী মানিক মিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। মানিক মিয়া গালি গালাজের কারণ জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী মানিক মিয়াকে মারধর করে। ঐ সময় মানিক মিয়ার সাথে মোহাম্মদ আলীর দস্তাদস্তিতে একপর্যায়ে মানিক মিয়ার হাতে থাকা চাষাবাদের বক কাঁচি দ্বারা মোহাম্মদ আলী হাতে সমান্য কেটে যায়। সে সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা আহসান উল্লাহ তাহাদের দুইজনকে ঝগড়া বিবাধ বন্ধ করে যার যার বাড়ির উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেন। ঘটনার বিষয় জানতে পেরে মানিক মিয়ার ছোট ভাই মামলার ২নং আসামী সিদ্দিক মিয়া সামাজিক ভাবে ঘটনাটি মিমাংসার জন্য তার বড় ভাই মানিক মিয়াকে নিয়ে ভিকটিম মোহাম্মদ আলী ও বাদী আবুল কাশেম মিয়ার নিকট যান এবং উভয় পক্ষকে শালিশের মাধ্যমে সমাধানের জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু মামলার বাদী আবুল কাশেম মিয়া শালিশ বৈঠকে না বসিয়া আসামীদের অযথা হয়রানী করার উদ্দেশ্যে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করে। এ ঘটনা সম্পর্কে এলাকাবাসী আরো জানান যে, উক্ত ঘটনার সময় মানিক মিয়া, মোহাম্মদ আলী ও আহসান উল্লাহ ছাড়া আর কেউ ঘটনাস্থলে ছিল না। ১নং আসামী মানিক মিয়ার ছোট ছেলে রিয়াদ হোসেন অর্থাৎ ৪নং আসামী ঘটনার দিন চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছিল। ঐ মাদ্রাসায় তাহার উপস্থিত থাকার স্বাক্ষর রহিয়াছে। ১নং আসামী মানিক মিয়ার ছোট ভাই সিদ্দিক মিয়া তিনি একটি বিবাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং বাকীরা যার যার কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন। সূত্রে আরো জানা যায় মানিক মিয়া ও মোহাম্মদ আলীর সাথে জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এই নিয়ে একাধিক বার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে বিচার শালিস অনুষ্ঠিত হয় কিন্তু কোন সমাধান আসেনি। উক্ত ঘটনা সম্পর্কে আবুল কাশেম মিয়ার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি ও তার ছেলে জাবেদ সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরন করে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এ বিষয়ে মামলার আসামী নিরহ মানিক মিয়া, সিদ্দিক মিয়া সহ সকলেই হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। তাই এই মামলার সুষ্ঠ তদন্ত করে মামলা হতে অবহ্যতি দেওয়ার জন্য মানিক মিয়া সহ এলাকাবাসী দাবী জানায়।
বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০২০
ফতুল্লা থানার বক্তবলী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মানিক মিয়া ও সিদ্দিক মিয়াগং এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার হয়রানীর শিকার
জাগো বন্দর ২৪.নিউজ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার বক্তবলী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মানিক মিয়া ও সিদ্দিক মিয়াগং এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার হয়রানীর শিকার
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সারোয়ার হোসেন বাবু ঃ
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন