জাগো বন্দর ২৪.নিউজ ওরসের নামে চলছে গাাঁজা বিক্রি ও সেবন
দেখার কেউ নেই!!
বন্দর প্রতিনিধি : বন্দরস্থ শাহী মসজিদ এলাকায় হযরত সিদ্দিক পাগলার স্মরণে ৯দিন ব্যাপী ওরশ মোবারক অনুষ্ঠানের অন্তরারে প্রকাশ্যে প্রায় শতাধিক তাবু টাঙ্গিয়ে গাঁজা বিক্রির মহোৎসব চলছে। অতিহ্যবাহী শাহী মসজিদ এলাকায় এমন ওরশের নামে গাঁজা বিক্রি ও সেবন করা নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন ভিড় করছে শত শত মানুষ। ধংশ হচ্ছে এলাকার উঠতি বয়সের কিশোর ও যুবসমাজ। কিশোর ও যুবসমাজকে রক্ষা করতে বন্দর থানা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।
সরজমিনে দেখা যায়,মহামারী করোনা সংক্রমন কালে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতি বছরের ন্যায় শাহী মসজিদ হযরত সিদ্দিক পাগলা স্মরনে ওরশ মোবারক অনুষ্ঠান উদযাপনের প্রশাসনিক ভাবে অনুমতি দিলেও বাস্তবিক ভাবে চলছে তার উল্টোটি। ওরশের নামকে পুজি করে প্রকাশ্যে চলছে গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের স্বর্গরাজ্য।
পাশাপাশি মেলায় বসেছে বিভিন্ন ধরনের স্টল। সেই মেলায় এলাকার বাসিন্দাদের অংশগ্রহন চোখে পড়ার মত। আর সে মেলার মাঝে অবৈধ ভাবে বসেছে গাঁজা বিক্রি ও সেবনের তাবু।মেলা চলাকালিন সময়ে সিদ্দিক পাগলার মাজারের পূর্ব পাশে দিন রাত ২৪ ঘন্টা প্রায় দেড়শো ভক্ত আসেকান পাগল ফকির গাঁজা সেবনে মত্ত থাকে। এ সময়ে প্রায় লাখ টাকার মাদক বেচা-কেনা হয়। এতে করে এলাকার শত শত কিশোর ও যুব সমাজ সেদিকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। মেলার যেমন ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে তেমনি করে এলাকার সুনাম ক্ষুণ হচ্ছে।
এ বিষয়ে সিদ্দিক পাগলার ছেলে ও ওরশ মোবারকের উদ্যোক্তা লিটন বলেন পাগলের মেলায় একটু আধটুকু গাঁজা সেবন হবেই। পাগলের আশেকানরা মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মেহমান হিসাবে আসে তাই তাদেরকে কিছু বলতে পারি না।
এ ব্যাপারে বন্দর ফাঁড়ির ইনর্চাজ সাইফুল ইসলাম জানান,শাহী মসজিদ এলাকায় সিদ্দিক পাগলের নামে ওরশ মোবারক চলছে তবে গাঁজা বিক্রি ও সেবন হচ্ছে কিনা আমি অবগত নই। আমি মাদকের সাথে কখনো আপোষ করি না। এখনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার বলেন, আমার ওয়ার্ডে কোন মাদক ব্যবসায়ী রাখবো না। বন্দর থানা প্রশাসনকে জানিয়েছি আমিও নিজে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন