মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে তিনি নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে।
নিহত তানভীর জামালপুর জেলার মেলান্দ থানার টঙ্গীবাড়ীর নজরুল ইসলামের পুত্র ও ফতুল্লা থানার দাপা কবরস্থান সড়কের কুদ্দুস মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় উত্তেজিত জনতা মমিন নামক এক সন্ত্রাসীকে গণপিটুনি দেয়। এ সময় পুলিশ মারমুখী জনতার হাত থেকে মমিনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহত তানভীরের মা পারভীন জানান, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে স্থানীয় সন্ত্রাসী মিল্লাত বাহিনীর সদস্য কামরুল, জনু, সজীব, জামাই শাকিল, রাসেল, লিমন ও মমিনসহ বেশ কয়েক সন্ত্রাসী তার ছেলেকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে চন্দ্রাবাড়ীর ভেতরে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন। এক পর্যায়ে তারা তানভীরকে ছেড়ে দেন। পরে সে বাসায় ফিরে গেলে সন্ত্রাসীরা পুনরায় ফোন দিয়ে হুমকি দেয়। বলা হয়, রাস্তায় পাওয়া গেলে তাকে আবার পিটুনি দেওয়া হবে। এই ভয়ে তানভীর নিজ ঘরে প্রবেশ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহতের বাবা নজরুল বলেন, কয়েক মাস আগে অস্ত্র চালানোর একটি ভিডিও গেম আপলোড করে নিজ ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর থেকে তানভীর তার সঙ্গে চায়ের দোকানে বসতো। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে তার স্ত্রী ফোন করে জানান, তানভীরের এক সময়ের সহযোগীরা তাকে মারধর করেছে এবং আবারও মারধর করবে বলে হুমকি দিয়েছে। এ ভয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মমিন নামের একজনকে থানায় আনা হয়েছে।
গত ২২ মার্চ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের স্টোরিতে বন্দুক দিয়ে গুলি চালানোর একটি ভিডিও শেয়ার করে নিহত তানভীর। সে স্টোরিতে লিখেছিল—‘ফার্স্ট টাইম মেশিন চালাইলাম’। ভিডিওটি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশের নজরে আসে ওই কিশোর। এ ঘটনায় গত ২৩ মার্চ ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন