গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব -১১ , সিপিএসসি এর একটি অভিযানিক দল কর্তৃক ১৫ মে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন সোনাখালী এলাকায় ঢাকা - চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণকালে ধারালো অস্ত্র ও ককটেলসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের ০৬ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয় । গ্রেফতারকৃতরা হলোঃ ১ । আজিজুল ইসলাম ( ১৮ ) , পিতা- মোঃ বাবুল হোসেন , সাং- নানাকি মধ্যপাড়া , ওলিপুর বাজার , থানা- সোনারগাঁও , জেলা- নারায়ণগঞ্জ , ২। মেয় সাইফুল ইসলাম @ সাইদুর ( ২০ ) , পিতা- মোঃ শফিকুল ইসলাম , সাং- শারেং সরকার চাপাতলী , থানা - বন্দর , জেলা - নারায়ণগঞ্জঃ ৩। মেঃ হৃদয় ( ১৮ ) , পিতা- মোঃ দায়েন , সাং- নানাকি মধ্যপাড়া , ওলিপুর বাজার , থানা- সোনারগাঁও , জেলা- নারায়ণগঞ্জ ; ৪। মোঃ তালিক হোসেন ( ২৩ ) , মোঃ রাজু আহম্মেদ ( ২২ ) , পিতা- মোঃ ইব্রাহিম , সাং হরিপুর সিড়ি ব্রীজ , থানা - বন্দর , জেলা - নারায়ণগঞ্জ এবং ৬। মোঃ ফারুক ( ১৯ ) , পিতা- মোঃ ইব্রাহীম , সাং- নয়াপাড়া , অলিপুর বাজার , থানা সোনারগাঁও , জেলা- নারায়ণগঞ্জ । গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় , এই চক্রটি গত ০১ এপ্রিল ২০২২ তারিখ গভীর রাতে সোনারগাঁ থানাধীন ঢাকা - চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মাহবুব আলম এর পরিবারকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করেছিল । গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ০৩ টি ককটেল , ০২ টি চাইনিজ কুড়াল , ০১ টি চাপাতি , ০২ টি ছোড়া , ০২ টি লোহার রড , ০৬ টি টর্চ লাইট ও ০২ টি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয় । এছাড়াও ডাকাতি হয়ে যাওয়া অধ্যাপক মাহবুব আলম এর ০১ টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয় । ডাকাতি করা টাকাগুলো এবং লুট করা স্বর্ণালংকারগুলো উক্ত গ্যাং এর সদস্যগণ ভাগ বাটোয়ারা করে নেয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় , গ্রেফতারকৃত আসামীরা সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য । এই সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রটি পরষ্পর যোগসাজশে পূর্ব - পরিকল্পনামাফিক ঢাকা - চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়ীসমূহকে টার্গেট করে তাদের ডাকাতি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল । গভীর রাতে ঢাকা - চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচল করার সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানার বিভিন্ন নির্জন স্থানে গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে ব্যারিকেড করে চলন্ত গাড়ীর গতিরোধ করে অতর্কিতভাবে হামলা করে এবং ধারালো অস্ত্র প্রদর্শণ করে চলাচলরত যাত্রীসাধারণদের ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে সাধারণ লোকজনদের জিম্মি করে ডাকাতি করে সিএনজি / মোটরসাইকেলযোগে দ্রুততার সাথে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায় । দুষ্কৃতিকারী এই ডাকাত দলের সদস্যরা ডাকাতি করতে গিয়ে কখনও কখনও জনসাধারণকে মারধর , ছুরিকাঘাত ও গাড়ি ভাংচুরসহ গুরুতর জখম পর্যন্ত করে থাকে । নিয়ে ডাকাতি করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে
সোমবার, ১৬ মে, ২০২২
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন