জাগো বন্দর ২৪.নিউজ-বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে ৩০ লাখ চাঁদা না পেয়ে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গার্মেন্ট থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণের ঘটনায় আদালতে জবানবন্ধী প্রদান করেছেন আহত ইউপি সদস্য সফুরউদ্দিন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট ছামসুর রহমানের আদালতে ১৬১ ধারায় জবানবন্ধী গ্রহন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা ধামগড় ইউপির কামতাল গ্রামে অবস্থিত টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টের ভেতর থেকে ইউপি সদস্য সফুরউদ্দিনকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন ও হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি বর্ষণ করে মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদের ছেলে মাহমুদুর হাসান শুভ বাহিনী।
এ ঘটনায় আহত সফুরউদ্দিন মেম্বারের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের পূত্র মাহমুদুল হাসান শুভ ও শেখ আমিনুল হক, জরিপ, চেয়ারম্যানের শ্যালক রানা, হানিফা, বেনসন সোবাহান, অন্তর, খাইরুল, সাইফুল ইসলাম ও নাদিম সহ আরো অজ্ঞাত ১৮ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে ।
১৬১ ধারা সংক্ষিপ্ত বিবরণ জানাগেছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসাবে টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টের ঝুট, জমিজমা ও ঠিকাদারী ব্যবসা পরিচালনা করেন সফুরউদ্দিন মেম্বার। এমনবস্থায় পার্শ্ববতর্ী মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদের ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ ও তার সহযোগীরা ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত ১৪ মার্চ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে পূর্বে থেকে কারখানার ভেতর থেকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে সফুরউদ্দিনকে চেয়ারম্যান পূত্র শুভ’র টর্চার সেল সোনালী পাল্প নিউজ প্রিন্ট মিলসে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় গুলি করে। এসময় মাথা সরিয়ে নিয়ে টচার্র সেলের দেয়ালে গুলি বিদ্ধ হয়।
মামলার তদন্তকারি অফিসার কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের সাব-ইন্সপেক্টর ফয়সাল জানান, ঘটনার পর পর আসামিরা এলাকা ছেড়ে গাডাকা দিয়েছে। এ কারণে আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে মামলার ভিকটিম সফুরউদ্দিনকে আদালতে ১৬১ ধারায় জবানবন্ধী প্রদান করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন