ads

Responsive Advertisement
LATEST UPDATES

মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০২২

মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ইউপি সদস্যকে তুলে নিয়ে মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যানের পূত্র শুভ নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টা

জাগো বন্দর ২৪.নিউজ মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ইউপি সদস্যকে তুলে নিয়ে মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যানের পূত্র শুভ নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায়
মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যানের পূত্র শুভ 
ও চিহিৃত ৪ সন্ত্রাসীসহ ১০ জনের 
বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা 

 বন্দর প্রতিনিধি বন্দরে ঝুট ব্যবসা একক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মাথায় 
পিস্তল ঠেকিয়ে ইউপি সদস্য সফুরউদ্দিনকে কারখানা থেকে অপহরণ করে 
তুলে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের পর হত্যা চেষ্টার ঘটনায় 
মাকসুদ চেয়ারম্যানের পূত্র মাহমুদুর হাসান শুভ সহ ১০ সন্ত্রাসীকে 
আসামি করে থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
সোমবার রাতে আহত সফুরউদ্দিন মেম্বারের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন 
বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১০ জনের নাম 
উল্লেখ করে আরো ১৮-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহার ভূক্ত 
আসামিরা হলেন, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদ 
হোসেন মাকসুদের ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ(৩৩), ডিবি পুলিশের 
গলায় ছুরি চালানো, চাঁদাবাজি সহ একাধীক মামলার আসামি 
চিড়ইপাড়া কলোনীর শেখ আব্দুল খালেক ছেলে শেখ আমিনুল হক(৩৮), 
অস্ত্র মামলার আসামি জরিপ(৩৩), মাকসুদ চেয়ারম্যানের শ্যালক 
রানা(৩৪), হত্যা, চাঁদাবাজি ও পুলিশের ওপর হামলা মামলাসহ একাধীক 
আসামির আসামি চিড়ইপাড়া কলোনীর মৃত বাক্কি মিয়ার ছেলে 
হানিফা(৩৮), অস্ত্র, হত্যা, চাঁদাবাজি সহ একাধীক মামলার আসামি 
বেনসন সোবাহান(৫৫), মাকসুদ চেয়ারম্যানের ভাতিজা অন্তর(৩২), 
সন্ত্রাসী আমিনুলের ভাগিনা খাইরুল(২৭), আমিনুলের শ্যালক সাইফুল 
ইসলাম(২৮) ও মালিবাগ গ্রামের নুরুল হকের ছেলে নাদিম(৩২)। 
উল্লেখ্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসাবে টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টের 
ঝুট, জমিজমা ও ঠিকাদারী ব্যবসা পরিচালনা দায়িত্বে ধামগড় 
ইউনিয়ন পরিষদ ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য হাজী সফুরউদ্দিন । চলমান অবস্থায় 
টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্ট সংলগ্ন এসএইচকে নামের লেভেল ফ্যাক্টরী 
থেকে গত বুধবার দুপুরে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদ 
হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ’র নেতৃত্বে উল্লেখিত ওই মাম
আসামি সহ ২০-২৫ জনের একটি দল গোডাউন থেকে দুই লক্ষাধীক 
টাকার জুট মালামাল কভার্ডভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। এ ঝুট 
ছিনতাইয়ের ঘটনাটি গনমাধ্যমে প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার শুভ সহ 
অন্যরা প্রকত ঘটনা ধামাচাপা দিতে টোটাল ফ্যাশন গামেন্টের 
ম্যানেজার কবিরুল ইসলামকে জিম্মি করে একটি ভিডিও বার্তা 
রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এ 
সংক্রান্ত ঘটনায় গনমাধ্যমে আরো একটি ফলোআপ সংবাদ প্রকাশ করা 
হয়েছে। এতে তেলে বেগুনে জ¦লে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে চেয়ারম্যান পূত্র শুভ। 
পূর্বের দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে 
এর জের ধরে সোমবার সকালে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে পূর্বে থেকে 
কারখানার ভেতর ওৎ পেতে থাকে চেয়ারম্যান পূত্র শুভ ও তার সহযোগী শেখ 
আমিনুল হক , হানিফা, জরিফ, বেনসন সোবাহান সহ ১৮-২০ জনের 
একটি দল। বেলা সাড়ে ১১ দিকে শফুরউদ্দিন ফ্যাক্টরীর ভেতরে প্রবেশ করলে 
তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে কারখানার ভেতর থেকে প্রাইভেটকারে তুলে 
পাশ^বর্তী ব্রহ্মপূত্র নদের তীরে (পরিত্যক্ত) সোনালী পাল্প নিউজ পেপার 
মিলসে নিয়ে একটি ফাঁকা গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে লোহার রড, 
হকিষ্টিক ও পিস্তলের বাট দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে 
হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় শফুরউদ্দিনের আর্তচিৎকারে নুরুল্লাহ 
নামের এক ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে 
ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে শফুরউদ্দিন মেম্বারের ছেলে 
জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে মাকসুদ চেয়ারম্যানের ছেলে মাহমুদুল 
হাসান শুভ, ডিবি পুলিশের গলায় ছুরি চালানো, চাঁদাবাজি সহ 
একাধীক মামলার আসামি চিড়ইপাড়া কলোনীর শেখ আব্দুল খালেক ছেলে 
শেখ আমিনুল হক, অস্ত্র মামলার আসামি জরিপ, মাকসুদ চেয়ারম্যানের 
শ্যালক রানা, হত্যা, চাঁদাবাজি ও পুলিশের ওপর হামলা মামলাসহ একাধীক 
আসামির আসামি চিড়ইপাড়া কলোনীর মৃত বাক্কি মিয়ার ছেলে 
হানিফা, অস্ত্র, হত্যা, চাঁদাবাজি সহ একাধীক মামলার আসামি 
বেনসন সোবাহান, মাকসুদ চেয়ারম্যানের ভাতিজা অন্তর, সন্ত্রাসী 
আমিনুলের ভাগিনা খাইরুল, আমিনুলের শ্যালক সাইফুল ইসলাম ও 
মালিবাগ গ্রামের নুরুল হকের ছেলে নাদিম সহ ১০ জনের নাম উল্লেখ 
করে আরো অজ্ঞাত ১৮-২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের 
করেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে বেইআইনি জনতাবদ্ধে অনাধিকার 
প্রবেশ, গতিরোধ পূর্বক মারপিট মাধারণ জখম, অপহরণ অবৈধ 
আটকসহ দাঁদা দাবী ক্ষতিসাধান ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধ। চাঁদারপরিমান ৩০ লাখ টাকা আদায় নাই। ক্ষতি সাধানের পরিমান ৯০ হাজার 
টাকা। ধারা ১৪৩/৪৪৮/৩৪১/৩২৩/৩৬৫/ ৪২৭/ ৩৪২/৩৮৫/৫০৬ পেনাল কোড 
১৮৬০। 
মামলার তদন্তকারি অফিসার কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের সাব-ইন্সপেক্টর ফয়সাল 
জানান, শফুরউদ্দিন মেম্বারের ঘটনার মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়র পর 
সোমবার রাতে আসামিদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। পলাতক 
থাকায় এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে। গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত 
রয়েছে। মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে পূর্বেও হত্যাসহ নানা অপরাধ 
কর্মকান্ডে একাধীক মামলা রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

 

Top